প্রতিবছর ভারতে প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে। শুধুমাত্র বাংলায় বছরে ২-৩ হাজার মামুষ চন্দ্রবড়া সাপের কামড়ে প্রাণ হারায়।
বাংলা ও বাঙালির গর্ব আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের তৈরি বেঙ্গল কেমিক্যালস তৈরি করত AVS (Anti Venom Serum), মানে সাপের বিষের প্রতিষেধক। যার ফলে প্রাণ বাঁচত সাপে কাটা রোগীদের। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীণ বেঙ্গল কেমিক্যালস তার AVS তৈরির ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেয় ২০০৮ সালে। এখন বাংলায় এভিএস আসে মূলত তামিলনাড়ু থেকে৷ কিন্তু তামিলনাড়ু থেকে নিয়ে আসা এন্টিভেনম কাজ করছে না এখানকার রোগীদের শরীরে, ফলে এন্টিভেনম দেওয়ার পরও প্রাণ হারাচ্ছে অনেক চন্দ্রবড়া সাপেকাটা রোগী, বিপদে মানুষ, চিন্তায় চিকিৎসকরা। WHO এর বিশেষজ্ঞ ডেভিড ওয়ারেল সহ সব বিশেষজ্ঞরই মত, স্থানীয় ভাবে AVS তৈরি করলেই তবে তা ওই অঞ্চলের সাপে কাটা রোগীর শরীরে ঠিকঠাক কাজ করে।
(এন্টি ভেনাম সিরাম)
কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় এভাবেই সামগ্রিক ভাবে শেষ হয়ে যায় বেঙ্গল কেমিক্যালস। গতবছর বেঙ্গল কেমিক্যালস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। বেসরকারিকরণ রুখতে আন্দোলন হয় ব্যাপক ভাবে। গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে বেঙ্গল কেমিক্যালস। করোনা মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরির ব্যাপক ক্ষমতা থাকায় বেঙ্গল কেমিক্যালসের নাম নতুন করে মানুষ জানছে। রাজ্য সরকারের বরাতও পেয়েছে বেঙ্গল কেমিক্যালস। কেন্দ্র সরকারের বিক্রি করতে চাওয়া বেঙ্গল কেমিক্যালসই গোটা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের সামনে সঞ্জিবনী মন্ত্রের মতো হাজির হয়েছে।
(চন্দ্রবড়া সাপ)
তাই, এবার সর্প বিশারদ ও রোগীরা আশায় বুক বাঁধছেন। তাঁদের দাবি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আবারও AVS তৈরি শুরু করুক বেঙ্গল কেমিক্যালস, প্রাণ বাঁচবে হাজার হাজার সাপেকাটা রোগীর।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বাংলার চোখকে জানান 'বিজ্ঞান বলছে স্থানীয় সাপের বিষ দিয়েই তৈরি হওয়া AVS রোগীদের জন্য বেশি কার্যকর হয়। কিন্তু তামিলনাড়ু থেকে AVS আনলে রোগী পিছু বেশি এন্টিভেনাম লাগছে, অনেকের ডায়ালিসিস লাগছে, আবার অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় অনেক খরচ হয় সরকারের এবং সাপেকাটা রোগী মারা গেলে রাজ্য সরকার ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বেঙ্গল কেমিক্যালসে আবারও AVS তৈরি শুরু করতে উদ্যোগ নিন। এতে অনেক রোগী উপকৃত হবে, সাপুড়েদের সঠিক কাজে ব্যবহার করা যাবে এবং বিশেষজ্ঞরাও সাহায্য করতে প্রস্তুত।"
(মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির লেখা চিঠি)
বাংলার স্টেট লেভেল রিসোর্স পার্সন ফর স্নেক বাইট ট্রেনিং এবং কেন্দ্র সরকারের সাপ কামড়ের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডঃ দয়ালবন্ধু মজুমদার বাংলার চোখকে জানান, 'বাংলায় একমাত্র বেঙ্গল কেমিক্যালসের সাপের বিষ সংগ্রহের লাইসেন্স আছে। AVS তৈরির ল্যাবরেটরি চালু করা সময় সাপেক্ষ, কিন্তু এখনই বেঙ্গল কেমিক্যালস সাপের বিষ সংগ্রহ করে নানা ল্যাবে পাঠাতে পারে এন্টি ভেনাম তৈরির জন্য। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাপেকাটা রোগীরা উপকৃত হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গল কেমিক্যালসে পুনরায় AVS তৈরির উদ্যোগ নিলে খুব ভালো হয়।'
-নিজস্ব সংবাদদাতা, বাংলার চোখ
বাংলা ও বাঙালির গর্ব আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের তৈরি বেঙ্গল কেমিক্যালস তৈরি করত AVS (Anti Venom Serum), মানে সাপের বিষের প্রতিষেধক। যার ফলে প্রাণ বাঁচত সাপে কাটা রোগীদের। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীণ বেঙ্গল কেমিক্যালস তার AVS তৈরির ল্যাবরেটরি বন্ধ করে দেয় ২০০৮ সালে। এখন বাংলায় এভিএস আসে মূলত তামিলনাড়ু থেকে৷ কিন্তু তামিলনাড়ু থেকে নিয়ে আসা এন্টিভেনম কাজ করছে না এখানকার রোগীদের শরীরে, ফলে এন্টিভেনম দেওয়ার পরও প্রাণ হারাচ্ছে অনেক চন্দ্রবড়া সাপেকাটা রোগী, বিপদে মানুষ, চিন্তায় চিকিৎসকরা। WHO এর বিশেষজ্ঞ ডেভিড ওয়ারেল সহ সব বিশেষজ্ঞরই মত, স্থানীয় ভাবে AVS তৈরি করলেই তবে তা ওই অঞ্চলের সাপে কাটা রোগীর শরীরে ঠিকঠাক কাজ করে।
(এন্টি ভেনাম সিরাম)
কেন্দ্রীয় বঞ্চনায় এভাবেই সামগ্রিক ভাবে শেষ হয়ে যায় বেঙ্গল কেমিক্যালস। গতবছর বেঙ্গল কেমিক্যালস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। বেসরকারিকরণ রুখতে আন্দোলন হয় ব্যাপক ভাবে। গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে বেঙ্গল কেমিক্যালস। করোনা মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরির ব্যাপক ক্ষমতা থাকায় বেঙ্গল কেমিক্যালসের নাম নতুন করে মানুষ জানছে। রাজ্য সরকারের বরাতও পেয়েছে বেঙ্গল কেমিক্যালস। কেন্দ্র সরকারের বিক্রি করতে চাওয়া বেঙ্গল কেমিক্যালসই গোটা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের সামনে সঞ্জিবনী মন্ত্রের মতো হাজির হয়েছে।
(চন্দ্রবড়া সাপ)
তাই, এবার সর্প বিশারদ ও রোগীরা আশায় বুক বাঁধছেন। তাঁদের দাবি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আবারও AVS তৈরি শুরু করুক বেঙ্গল কেমিক্যালস, প্রাণ বাঁচবে হাজার হাজার সাপেকাটা রোগীর।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বাংলার চোখকে জানান 'বিজ্ঞান বলছে স্থানীয় সাপের বিষ দিয়েই তৈরি হওয়া AVS রোগীদের জন্য বেশি কার্যকর হয়। কিন্তু তামিলনাড়ু থেকে AVS আনলে রোগী পিছু বেশি এন্টিভেনাম লাগছে, অনেকের ডায়ালিসিস লাগছে, আবার অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় অনেক খরচ হয় সরকারের এবং সাপেকাটা রোগী মারা গেলে রাজ্য সরকার ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন বেঙ্গল কেমিক্যালসে আবারও AVS তৈরি শুরু করতে উদ্যোগ নিন। এতে অনেক রোগী উপকৃত হবে, সাপুড়েদের সঠিক কাজে ব্যবহার করা যাবে এবং বিশেষজ্ঞরাও সাহায্য করতে প্রস্তুত।"
(মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির লেখা চিঠি)
বাংলার স্টেট লেভেল রিসোর্স পার্সন ফর স্নেক বাইট ট্রেনিং এবং কেন্দ্র সরকারের সাপ কামড়ের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডঃ দয়ালবন্ধু মজুমদার বাংলার চোখকে জানান, 'বাংলায় একমাত্র বেঙ্গল কেমিক্যালসের সাপের বিষ সংগ্রহের লাইসেন্স আছে। AVS তৈরির ল্যাবরেটরি চালু করা সময় সাপেক্ষ, কিন্তু এখনই বেঙ্গল কেমিক্যালস সাপের বিষ সংগ্রহ করে নানা ল্যাবে পাঠাতে পারে এন্টি ভেনাম তৈরির জন্য। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাপেকাটা রোগীরা উপকৃত হবে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গল কেমিক্যালসে পুনরায় AVS তৈরির উদ্যোগ নিলে খুব ভালো হয়।'
-নিজস্ব সংবাদদাতা, বাংলার চোখ
No comments:
Post a Comment