গত দশদিন আগে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছিল দুলাল পাল নামে এক বাঙালির। মৃতের ছেলের দাবি ছিল যতদিন না বাবাকে ভারতীয় বলে ঘোষণা করা হবে তারা দেহ নেবেন না। অবশেষে পরিবারের জেদে ঘোষিত বাংলাদেশী তকমাপ্রাপ্ত মৃত বৃদ্ধ দুলাল পালকে ভারতীয় ঘোষণা করতে বাধ্য হলো সরকার। তারপরেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল তার দেহ। টানা দশদিন পর মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করলো পরিবার।
অসমের সোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলির অলিসিঙ্গা গ্রামের আদি বাসিন্দা দুলাল পাল নাগরিকত্ব প্রমাণের সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও আসামের বাঙালি বিদ্বেষী সরকার দুলাল পালকে বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা হিসাবে চিহ্নিত করে | দুলাল পালের ছেলে অশোক পাল বলেছেন "১৯৬৫ সালের নথিপত্র দেখিয়েও তাঁর বাবা নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করতে পারেননি।" ২০১৭ সালে রাতের অন্ধকারে তাঁকে গ্রেফতার করে ভরা হয় তেজপুর জেলের ভিতর বিদেশি বন্দীশালায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর ক্ষোভে-দুঃখে তাঁর ছেলে মরদেহ নিতে অস্বীকার করেন। হ্যাঁ, তাঁর ছেলে অশোক পালের হাতে মরদেহ তুলে দিতে চেয়েছিল আসাম প্রশাসন। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘বাবা যখন বাংলাদেশি, তখন বাংলাদেশকেই বুঝিয়ে দেওয়া হোক তাঁর দেহ।’
টানা দশদিন ধরে হাসপাতালের মর্গেই পরে থাকে দেহ।এতে উত্তাল হয়ে উঠে অসম। ছাত্র থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল সকলেই অসম সরকারের এনআরসির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। অবশেষে বাধ্য হতে হয় সরকারকে। লিখিত আকারে বৃদ্ধকে অসমের সোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলির অলিসিঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দেখানোর পরেই দেহ নিয়ে তার সৎকার বৃদ্ধের।
এই ঘটনায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে । অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন জীবিত অবস্থায় একজন বিদেশী হলে মৃত্যুর পর কিভাবে তিনি ভারতীয় হলেন ?
No comments:
Post a Comment