গত কয়েক বছরের মতো এ বারও বঞ্চিত হল বাংলার ঘোষিত রেল প্রকল্পগুলি। অধিকাংশ প্রকল্পের বরাদ্দ বেড়েছে নামমাত্র। তাতে প্রকল্পের কাজে গতি আসা কঠিন। কিছু প্রকল্পকে আবার বাজেটে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে কোনও ভাবে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কাঁচরাপাড়া রেল কোচ কারখানায় বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা। ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে যাওয়া কারখানাটির পিছনে সরকার এ যাবৎ বিনিয়োগ করেছে মাত্র ২৯ কোটি টাকা। যেখানে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকায় কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একই ভাবে বাংলাদেশের খুলনার সঙ্গে কলকাতার যাত্রী ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো খাতে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। ডানকুনিতে দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মালদহে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বেলেঘাটায় ট্র্যাক প্রশিক্ষণ ইউনিটের জন্য মাত্র ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
গোটা মালদহ ডিভিশনের ছ’টি প্ল্যাটফর্ম উঁচু করা, প্ল্যাটফর্ম শেড, যাত্রী ওভারব্রিজ, নতুন স্টেশন ভবন, পানীয় জল ও বেঞ্চ পাতার খাতে বরাদ্দ হয়েছে সাকুল্যে এক লক্ষ টাকা। সম পরিমাণ টাকায় একই কাজ করার জন্য নির্দেশ এসেছে হাওড়া ডিভিশনের ১৯টি স্টেশনে। পূর্ব রেলে যাত্রী সুবিধার্থে মাত্র দু’টি স্টেশনে এসক্যালেটর বসানোর জন্যও বরাদ্দের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা। নৈহাটি ও রানাঘাট স্টেশনে যাত্রী সাবওয়ে নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছে যথাক্রমে ১৫ ও ২০ লক্ষ টাকা। ওই সামান্য টাকায় কাজ কী ভাবে শেষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রেল মন্ত্রকের অভ্যন্তরেও।
No comments:
Post a Comment