সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি নানা ভাষায় পাওয়া যাবে। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। সাধারণ মানুষ এত ইংরেজি বোঝে না। সবারই নিজের ভাষায় কোর্টের রায়ের কপি পাওয়া গেলে তা খুব ভালো হবে। কারণ আইনি জিনিসে মানুষকে সবথেকে বেশি বোকা বানানো হয়।
ইংরেজি ছাড়া আরও ছটি ভাষায় সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি পাওয়া যাবে। হিন্দি, কন্নড়, ওড়িয়া, তেলগু, অসমিয়া সহ আরও দুটি ভাষায়। বাংলা নেই।
এবার ভারতে কোন ভাষা কত মানুষ কথা বলে সেদিকে তাকান। হিন্দি ভারতের ২৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা। দ্বিতীয় কোন ভাষা? উত্তরটা অবশ্যই জানা- বাংলা। বাংলায় ৯% মানুষ কথা বলেন। ভারতে প্রায় ১১ কোটি বাঙালি আছে।
অসমিয়া ভাষায় মাত্র ১-১.৫ কোটি মানুষ কথা বলেন। বাংলার থেকে অনেক কম মানুষ ওড়িয়া তে কথা বলেন। অথচ সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলায় বেরবে না। অদ্ভুত না? অদ্ভুত না শুধু এটা অন্যায়ও। বাংলা যেন ভারতের ভাষাই না। আজকাল তো বাংলায় কথা বললে অনেকেই 'বাংলাদেশী' দাগিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার বলে বাংলায় কথা বলতে হলে ভারতে কি করছো, বাংলাদেশে যাও। এবার ভাবুন বাংলা চিত্তরঞ্জন, সুভাষচন্দ্রের মাতৃভাষা, বাংলা রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের ভাষা, বাংলা বিনয়-বাদল-দীনেশ-মাতঙ্গিনী-ক্ষুদিরাম-সূর্যসেনের ভাষা। তাদের মাতৃভাষা ভারতে উপেক্ষিত।
তামিল ছিল না তালিকায়। তামিলদের প্রতিবাদে দুদিনের মধ্যে তালিকায় তামিল ঢোকে। কারণ তামিলরা সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ। তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলো তামিল জাতি ও তামিল ভাষার স্বার্থ বোঝে।
বাংলায় সেভাবে প্রতিবাদ কই? দুই বিরোধী নেতা সুপ্রীম কোর্টে চিঠি দিলেন। রাজ্য সরকার চুপ। কটা বাঙালি সংগঠন ফেসবুকে হাউকাউ করল। ব্যাস। গড় বাঙালির হেলদোল নেই, রাজনৈতিক দলগুলোরও। তাই যা হবার তাই হল- তালিকায় বাংলা যোগ হল না। বাঙালি আত্মবিস্মৃত। বাঙালি অধিকার সচেতন নয়, ঐক্যবদ্ধ তো নয়ই। এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো বাঙালিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেই না। এটা বাংলার লজ্জা, বাঙালির লজ্জা। অসমিয়াতেও সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি পাওয়া যাবে, বাংলায় নয়। তার মানে সরকারের সাথে সাথে কোর্টও বাংলা ভাষাকে জাস্ট পাত্তা দেয় না। বাংলা ভাষা মর্যাদা পায় না, জোটে শুধুই অবহেলা।
প্রশ্ন উঠবে, উঠছেও - ভারতে বাংলা ভাষা বা বাঙালির অস্তিত্ব থাকবে তো?
এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের দায়িত্ববোধ, অধিকারবোধের উপরই নির্ভর করবে।
প্রবন্ধ- কৌশিক মাইতি
ইংরেজি ছাড়া আরও ছটি ভাষায় সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি পাওয়া যাবে। হিন্দি, কন্নড়, ওড়িয়া, তেলগু, অসমিয়া সহ আরও দুটি ভাষায়। বাংলা নেই।
এবার ভারতে কোন ভাষা কত মানুষ কথা বলে সেদিকে তাকান। হিন্দি ভারতের ২৬ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা। দ্বিতীয় কোন ভাষা? উত্তরটা অবশ্যই জানা- বাংলা। বাংলায় ৯% মানুষ কথা বলেন। ভারতে প্রায় ১১ কোটি বাঙালি আছে।
অসমিয়া ভাষায় মাত্র ১-১.৫ কোটি মানুষ কথা বলেন। বাংলার থেকে অনেক কম মানুষ ওড়িয়া তে কথা বলেন। অথচ সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি বাংলায় বেরবে না। অদ্ভুত না? অদ্ভুত না শুধু এটা অন্যায়ও। বাংলা যেন ভারতের ভাষাই না। আজকাল তো বাংলায় কথা বললে অনেকেই 'বাংলাদেশী' দাগিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার বলে বাংলায় কথা বলতে হলে ভারতে কি করছো, বাংলাদেশে যাও। এবার ভাবুন বাংলা চিত্তরঞ্জন, সুভাষচন্দ্রের মাতৃভাষা, বাংলা রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের ভাষা, বাংলা বিনয়-বাদল-দীনেশ-মাতঙ্গিনী-ক্ষুদিরাম-সূর্যসেনের ভাষা। তাদের মাতৃভাষা ভারতে উপেক্ষিত।
তামিল ছিল না তালিকায়। তামিলদের প্রতিবাদে দুদিনের মধ্যে তালিকায় তামিল ঢোকে। কারণ তামিলরা সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ। তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলো তামিল জাতি ও তামিল ভাষার স্বার্থ বোঝে।
বাংলায় সেভাবে প্রতিবাদ কই? দুই বিরোধী নেতা সুপ্রীম কোর্টে চিঠি দিলেন। রাজ্য সরকার চুপ। কটা বাঙালি সংগঠন ফেসবুকে হাউকাউ করল। ব্যাস। গড় বাঙালির হেলদোল নেই, রাজনৈতিক দলগুলোরও। তাই যা হবার তাই হল- তালিকায় বাংলা যোগ হল না। বাঙালি আত্মবিস্মৃত। বাঙালি অধিকার সচেতন নয়, ঐক্যবদ্ধ তো নয়ই। এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো বাঙালিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেই না। এটা বাংলার লজ্জা, বাঙালির লজ্জা। অসমিয়াতেও সুপ্রীম কোর্টের রায়ের কপি পাওয়া যাবে, বাংলায় নয়। তার মানে সরকারের সাথে সাথে কোর্টও বাংলা ভাষাকে জাস্ট পাত্তা দেয় না। বাংলা ভাষা মর্যাদা পায় না, জোটে শুধুই অবহেলা।
প্রশ্ন উঠবে, উঠছেও - ভারতে বাংলা ভাষা বা বাঙালির অস্তিত্ব থাকবে তো?
এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের দায়িত্ববোধ, অধিকারবোধের উপরই নির্ভর করবে।
প্রবন্ধ- কৌশিক মাইতি
No comments:
Post a Comment