আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, প্রবীণ চিকিৎসকদের মধ্যস্থতার চেষ্টা, সব কিছু যেভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তাতে মনে হচ্ছে অসৌজন্য এবং ঔদ্ধত্যের সব সীমা ছাড়া তারা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বার সহানুভূতির সাথে কথা বললে সমস্যার সমাধান আরও আগে এবং অনেক সহজে হত। তাঁর ভাবমূর্তির সঙ্গেও এমনটি মানানসই।
কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দিনভর আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা যা করলেন— তা নিন্দার যোগ্য। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই প্রবীণ চিকিৎসকদের মাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। শনিবার ফের সেই চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পরে তিনি নিজে সরাসরি কর্মবিরতি তোলার আবেদন জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেছেন, যদি তাঁকে ‘পছন্দ’ না হয়, তা হলে তাঁরা রাজ্যপাল, মুখ্যসচিবের মতো যে কোনও শীর্ষ পদাধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, এ-ও বলেন, চিকিৎসার মতো জরুরি পরিষেবায় কাজ বন্ধ রাখলে ‘এসমা’ জারির যে সংস্থান আছে, তা তিনি প্রয়োগ করতে চান না। বরং বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে মিটিয়ে নিতে চান।
তা সত্ত্বেও আন্দোলনে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে চিকিৎসকেরাই এ বার হয়তো ক্রমশ ভগবান থেকে শত্রু তে পরিণত হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এখন যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন, তাকে অমর্যাদা করার অর্থ সরকার ও চিকিৎসাপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিপাকে ফেলা।
ছ’দিন গড়িয়ে গিয়েছে। রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আন্দোলন মেটেনি। কারণ, চিকিৎসকদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এনআরএসে যাননি। কিন্তু এটাই একমাত্র চাহিদা বলে জেদ ধরে চিকিৎসকেরা যদি কাজ বন্ধ রেখে রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিতে থাকেন, তবে তা দুর্ভাগ্যের।
No comments:
Post a Comment