
লোকসভা নির্বাচন শেষ না হতে হতেই অসমে ফের বিদেশির নামে সন্দেহবশত হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালিদের বাংলাদেশে পাঠানো, ধরপাকড়,নোটিশ জারি এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকের ঘটনা শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ।
অতি সম্প্রতি ৬ হিন্দু বাঙালি সহ ২০ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন - আলোরানী দাস, রবীন্দ্র দাস, দিগেন্দ্র চন্দ্র দাস, শেখর নমঃশূদ্র, সুজিত চন্দ্র দাস, পরিমল জলদাস, ইকবাল হোসেন তালুকদার, আহমেদ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসাক আলী প্রমুখ।
গত সোমবার বরাকের ধলাইয়ে দিপালী দাস(স্বামী অভিমুন্য দাস) নামে এক মধ্যবয়স্ক মহিলাকে মিথ্যা কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বিদেশি সন্দেহে গ্রেফতার করে শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে আবদ্ধ করা হয়েছে বলে খবর।
ফের করিমগঞ্জে ২৪০০ বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর তোড়জোড় চলছে যাদের মধ্যে
১৩২৪ জন হিন্দু। বিজেপি সরকার সুপ্রীম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলেছে যে ৪০ লাখ মানুষের নাম এনআরসি তালিকায় ওঠেনি তারা সবাই বিদেশী এর মধ্যে ৩০ লাখ হিন্দু আর ১০ লাখ মুসলমান।
অল ইন্ডিয়া নম:শূদ্র বিকাশ পরিষদের সভাপতি মুকুল চন্দ্র বৈরাগ্য বলেন,’২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় আসামে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষনা করেছিলেন ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে দিয়ে সমস্ত হিন্দুদের মুক্ত করে দেবেন। ক্ষমতায় এলেন ঠিকই কিন্তু করলেন উল্টোটা। ডিটেনশন ক্যাম্প ভাঙার বদলে এনআরসি-র নামে ৪০ লক্ষ লোককে বেনাগরিক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকানোর ব্যবস্থা করলেন। এবারেও ঠিক একই কায়দায় ভূয়া সিটিজেনশিপ বিলের ধুয়ো তুলে ভোট ময়দানে নেমে বললেন ওপার বাংলা থেকে আগত হিন্দুদের কোন বিপদ নেই। অথচ এই সিটিজেনশিপ বিলে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা লেখাই নেই বরং যারা নাগরিক আছেন তাদেরকে বিদেশি ঘোষনার রাস্তা তৈরি হয়ছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসামের হিন্দুদের ভোট নেওয়ার পরেই আবার গ্রেফতার করে ডিটেনশন ক্যাম্পে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ বাংলায় এনআরসি চালু হলে কমপক্ষে ৪ কোটি মানুষ বিপদে পড়বেন।’
No comments:
Post a Comment