আসানসোলে আজকাল বিহার থেকে অনেক মানুষ ঢুকছেন। এদের অনেকেই অপরাধী কাজকর্মের সাথে জড়িত। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ অনেক কালের। পুলিশের কাছে ধরাও পড়েছে একাধিক অপরাধী। কিন্তু এই অপরাধী শ্রেণী ২০১৬র পর থেকে বিজেপিতে ঢুকে যাওয়ায় সাধারণ অপরাধীও নিজেকে রাজনৈতিক নেতা ও মোদীজির সৈনিক বলে পরিচয় দিতে এলাকার মানুষ ভীত এবং বিভ্রান্ত। গত ৩ দশক ধরে বিজেপি করা অসীম বন্দোপাধ্যায় বলেন যে আমাদের দলে একটা শৃঙ্খলা ছিল এবং শিক্ষিত মানুষ ছিল মূলতঃ। কিন্তু গত দশকে তৃণমূলের মেয়র জীতেন তেওয়ারী মদতে পিলপিল করে অপরাধীরা ঢুকেছে আসানসোলে, পাল্টে দিয়েছে এলাকার জনচরিত্র এবং নিষ্ঠা ও আদর্শের দল বিজেপিকে একটি বিহারী লুম্পেন বাহিনীতে পরিণত করেছে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন গৌরব চৌবে ওরফে লাট্টু ভাইয়ের কথা। ৮ বছর আগে বাংলায় ঢোকা এই লাট্টু ভাই বিজেপির বাঙালি নেতাদের সাথে চাকরের মত ব্যবহার করে বিজেপি যুব মোর্চা সংগঠনে অনেক উপরে উঠে গেছে। আর বাবুল নিজেও বাঙালি হয়ে বিহারীদেরই পক্ষে। এর ফলে বিজেপির ত্যাগী বাঙালি কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। এই লাট্টু ভাই এককালে ছিল তৃণমূলের জিতেন তিওয়ারির ঘনিষ্ঠ। কিন্তু ২০১৬র পর থেকে সে "জয় শ্রী রাম" ধ্বনি দেওয়া ও রামনবমী করা শুরু করে, ডিজে বাক্সের ভাড়াও দেয়। কিন্তু এই সুযোগে গরুদের দেখভাল করার নাম করে সে কোটি কোটি টাকা তুলেছে সাধারণ মানুষের থেকে। তোলার পর থেকে একদিন সে হাওয়া। অনেকে বলছেন যে এই অপরাধী চলে গেছে বিহারের মুঙ্গেরে। কিন্তু কোন গোশালা তৈরী হয়নি, মানুষ তাদের বিশ্বাসের উপর টাকা দিয়ে ঠকেছেন। অসীমবাবু বলেন, বিজেপি যদি আসানসোলে দলটিকে বিহারীদের হাত থেকে উদ্ধার না করে, তাহলে অনেকে ত্যাগী বাঙালি বিজেপি কর্মীই সামনের দিনে বসে যাবে।


No comments:
Post a Comment