
গত ২৮-এ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে মেয়ো রোডে এসএসসির শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে অনশনে বসেছিলেন প্রায় সাড়ে তিনশো এসএসসি প্রার্থী। ইতিমধ্যেই পেরিয়েছে
অনশনের একুশ দিন।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। আন্দোলনকারীদের হাতে পোস্টার-ব্যানার --"হয় চাকরি, না হয় মৃত্যু"। অনশনকারীদের দাবি, প্রশাসনিক মহল থেকে যা উত্তর এসেছে তাতে সন্তুষ্ট নন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেও কোনও সুরানি পাননি বলেই অভিযোগ তাঁদের। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল গতকাল।
ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বীরভূমের রুমকি প্রামানিক, গর্ভের সন্তান হারিয়েছেন আরেক যুবতি। অসুস্থ ১০০ জনকে জোর করে বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছেন সঙ্গীরা, তাঁদের মধ্য়ে
ছিলেন বেশ কয়েকজন সন্তানসম্ভবাও। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে প্রায় ৫৫ জনকে। সবমিলিয়ে প্রতিদিন অবস্থার অবনতি হলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই জানাচ্ছেন
তানিয়া, ইনসানরা।
ফেসবুক হোয়াটঅ্যাপের মতো সোশাল মিডিয়ার হাত ধরেই একত্রিত হয়েছিলেন ওই প্রার্থীরা। এরপর 'এসএসসি যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ’ গঠন করে এসএসসিতে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে
অনশনে বসেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের জানাচ্ছেন, বিভিন্ন জেলার স্কুলে হাজার হাজার পদ খালি। নবম-দশম-একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ ঠিকমতো হয়নি। যাঁরা এখানে বসে আছেন তাঁরা কেউ অকৃতকার্য নন। তবু অন্যায়ভাবে ওয়েটটিং লিস্টে রাখা হয়েছে তাঁদের। এসএসসি কার্যত নিরব। শূন্যপদের বিষয়টি আপডেট করা হচ্ছে না। ফলে প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না।
অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগের দাবিতে খামখেয়ালি আবহাওয়াকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে আমারণ অনশনে বসেছেন প্রায় সাড়ে তিনশ যুবক-যুবতী।
No comments:
Post a Comment