
বিরল ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে চরম অসংবেদনশীল মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তাঁর সেই অসংবেদনশীল আচরণের ভিডিও প্রকাশিত
হতেই নিন্দায় সরব হন নানা মহল।
ওই ভিডিওয় দেখা গেছে, একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন মোদী। এই প্রতিযোগিতায় নানা কথা বলতে গিয়েই ওঠে ডিসলেক্সিয়া
প্রসঙ্গ। দেরাদুনের এক এঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত ডিসলেক্সিক বাচ্চাদের শেখার গতি খুব ধীর, যারা অনেক সময় নেয় লিখতে, অথচ বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনশীলতা খুবই বেশি, যেমন
‘তারে জমিন পর’ সিনেমার দর্শিল বলে ছেলেটি….’। এতটা বলার পরেই মোদী তাঁকে থামিয়ে মন্তব্য করেন, এই প্রোগ্রামিং কি ৪০-৫০ বছর বয়সের ধেড়ে খোকাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ
করবে? বলে হাসতে থাকেন মোদী । তা হলে এ রকম বুড়ো খোকাদের মায়েরা খুশি হবেন।
বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের অধিকার নিয়ে লড়াই করা আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম ফর দ্য রাইটস অব দ্য ডিসেবল্ড (এনপিআরডি) প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংবেদনশীল
এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছে।রবিবার এনপিআরডি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে , “এমন মন্তব্য করার অর্থ ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষের অধিকার আইন, ২০১৬’-কেও অসম্মান করা, যা আদতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অন্ততপক্ষে ক্ষমা চাইতেই হবে”।
এনপিআরডি তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদী এ ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক বিপক্ষকে কটাক্ষ করার ছলে ডিজলেক্সিয়া আক্রান্তদের প্রতি অসংবেদনশীলতার ছাপ রেখেছেন। অসংবেদনশীলতা যখন প্রধানমন্ত্রীর মতো উচ্চতার কোনও এক পদের মানুষের কাছ থেকে আসে, স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব অনেক বেশি হয়। ২০১৪-এর লোকসভাতেও প্রতিপক্ষ কে ছোট করার উদ্দেশে ‘অন্ধ’, ‘খোঁড়া’ কিমবা ‘বধির’ এই শব্দগুলি ব্যবহার করেছিলেন”।
No comments:
Post a Comment