গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী কাশ্মীরের পুলাওমাতে ভয়াবহ জঙ্গি আক্রমণে ৪৪ জন সেনা শহীদ হয়েছেন। শোকস্তব্ধ ভারত ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া তৈরি করে রাজ্য সহ গোটা ভারতেই নানা যুক্তিবাদী মানুষকে আক্রমণ করা হয়। রাষ্ট্রপ্রেমের দোহাই দিয়ে গুণ্ডামি চলে সর্বত্র।
আস্তে আস্তে নানা প্রশ্ন সামনে আসছে। ব্যর্থতা ঢাকতে পারছে না কেন্দ্র সরকার। উত্তরও অমিল।
যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো উঠছে:
১. আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও এই আক্রমণ কিভাবে সম্ভব হল?
২. কাশ্মীরের মতো সেনায় মোড়া রাস্তায় সেনা কনভয়ে এভাবে একটা গাড়ি কিভাবে ঢুকল?
৩. রাস্তায় পাহারায় থাকা কোনো সেনা ওই গাড়িটিকে আটক করেনি কেন?
৪. ৩০০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে একটা গাড়ি এল। এত বিস্ফোরক জোগাড় করল কিভাবে? গোয়েন্দা দফতর খবর পায়নি?
৫. শেষ মুহূর্তে কনভয়ের রুট চেঞ্জ করা হয়েছিল, জঙ্গিদের সে খবর দিল কে?
৬. সাধারণত ৩০ টা গাড়ির সেনা কনভয় যায়। সেদিন ৭৮ টা গাড়িতে ২০০০ র বেশি জওয়ান ছিল। কেন?
কোনো প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ধীরে ধীরে প্রশ্ন গুলো সামনে আসছে। সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষও।
প্রাক্তণ RAW কর্তার মতে গাফিলতি ছাড়া এই আক্রমণ সম্ভব না।
পাঠানকোটে এয়ারবেসে হামলা, উরি সেনা ছাউনিতে আক্রমণের পর এত বড় আক্রমণ আটকাতে সরকার ব্যর্থ কেন?
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ র লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোনো জঙ্গি আক্রমণ হবে না, পাকিস্তান ভারতের দিকে চীখ তুলে তাকাতে পারবে না। তাহলে কিভাবে বারবার এই জঙ্গি হানা সম্ভব হচ্ছে। তাহলে দেশের নিরাপত্তায় কি সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদি সরকার? উঠছে প্রশ্ন। নোট ব্যানের সময়ে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নোট ব্যান হলে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে যাবে। কোনো জঙ্গি হানা হবে না। তাহলে এই আক্রমণ কিভাবে?
গত চার বছরে কাশ্মীরে মিলিট্যান্সি বেড়েছে, বেড়েছে সেনার মৃত্যুও। এমনকি সেনা আত্মহত্যাও বেড়েছে বিজেপির আমলে। বিজেপি এসব ঢাকতেই কি যুদ্ধ যুদ্ধ হাওয়া তুলে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে? কারণ বেশিরভাগ সমীক্ষাই বিজেপির হারের ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
এমনকি, শহীদ জওয়ানদের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য হেলিকপ্টার দিতে অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এছাড়া, কেন্দ্র সরকার ২০১৮ সালে কোর্টে জানায় আধা সামরিক বাহিনীকে 'শহীদের' তকমা দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির দেশপ্রেম কি আসলে পুরোটাই ভোটের কাঁচামাল?
আস্তে আস্তে নানা প্রশ্ন সামনে আসছে। ব্যর্থতা ঢাকতে পারছে না কেন্দ্র সরকার। উত্তরও অমিল।
যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো উঠছে:
১. আগাম খবর থাকা সত্ত্বেও এই আক্রমণ কিভাবে সম্ভব হল?
২. কাশ্মীরের মতো সেনায় মোড়া রাস্তায় সেনা কনভয়ে এভাবে একটা গাড়ি কিভাবে ঢুকল?
৩. রাস্তায় পাহারায় থাকা কোনো সেনা ওই গাড়িটিকে আটক করেনি কেন?
৪. ৩০০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে একটা গাড়ি এল। এত বিস্ফোরক জোগাড় করল কিভাবে? গোয়েন্দা দফতর খবর পায়নি?
৫. শেষ মুহূর্তে কনভয়ের রুট চেঞ্জ করা হয়েছিল, জঙ্গিদের সে খবর দিল কে?
৬. সাধারণত ৩০ টা গাড়ির সেনা কনভয় যায়। সেদিন ৭৮ টা গাড়িতে ২০০০ র বেশি জওয়ান ছিল। কেন?
কোনো প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ধীরে ধীরে প্রশ্ন গুলো সামনে আসছে। সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষও।
প্রাক্তণ RAW কর্তার মতে গাফিলতি ছাড়া এই আক্রমণ সম্ভব না।
পাঠানকোটে এয়ারবেসে হামলা, উরি সেনা ছাউনিতে আক্রমণের পর এত বড় আক্রমণ আটকাতে সরকার ব্যর্থ কেন?
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ র লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কোনো জঙ্গি আক্রমণ হবে না, পাকিস্তান ভারতের দিকে চীখ তুলে তাকাতে পারবে না। তাহলে কিভাবে বারবার এই জঙ্গি হানা সম্ভব হচ্ছে। তাহলে দেশের নিরাপত্তায় কি সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদি সরকার? উঠছে প্রশ্ন। নোট ব্যানের সময়ে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, নোট ব্যান হলে জঙ্গিদের কোমর ভেঙে যাবে। কোনো জঙ্গি হানা হবে না। তাহলে এই আক্রমণ কিভাবে?
গত চার বছরে কাশ্মীরে মিলিট্যান্সি বেড়েছে, বেড়েছে সেনার মৃত্যুও। এমনকি সেনা আত্মহত্যাও বেড়েছে বিজেপির আমলে। বিজেপি এসব ঢাকতেই কি যুদ্ধ যুদ্ধ হাওয়া তুলে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে? কারণ বেশিরভাগ সমীক্ষাই বিজেপির হারের ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
এমনকি, শহীদ জওয়ানদের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য হেলিকপ্টার দিতে অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এছাড়া, কেন্দ্র সরকার ২০১৮ সালে কোর্টে জানায় আধা সামরিক বাহিনীকে 'শহীদের' তকমা দেওয়া হবে না। প্রশ্ন উঠছে বিজেপির দেশপ্রেম কি আসলে পুরোটাই ভোটের কাঁচামাল?
No comments:
Post a Comment