যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং- এ বাংলার পড়ুয়াদের জন্য আসন সংরক্ষণ চালু বিষয়ে (ডোমিসাইল কোটা) অকুণ্ঠ সমর্থন জানাচ্ছেন ১৪ টির মধ্যে ১২ টি বিভাগের অধ্যাপকেরা। মঙ্গলবার এ নিয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। ডোমিসাইল নীতি চালু হলে বাংলার যেসব ছাত্র বাংলা থেকে ১০+২ এর পরীক্ষা পাশ করেছে, তারা সংরক্ষণের আওতায় পড়বে।
কিছু দিন ধরে যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণের দাবি তুলছেন শিক্ষক ও ছাত্রদের একটা বড় অংশ। তাদের দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখা ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ায় ভরে যাচ্ছে, বঞ্চিত বাংলার পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সেরা প্রতিষ্ঠানের ১৬ টির মধ্যে ১১ টি বিষয়ে বহিরাগত ছাত্রছাত্রী ভর্তির পরিমান ৫০%,কোনো ক্ষেত্রে তা ৭০-৮০%।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক অধ্যাপকের কথায় , "বাংলার মানুষের করের টাকায় চলে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর। বিহার,কর্ণাটক,তামিলনাড়, ওডিশা ইত্যাদি সব রাজ্যে ডোমিসাইল আছে ফলে আমাদের রাজ্যের ছেলেরা ওখানে সুযোগ পায়না। আর এখানে ডোমিসাইল না থাকার ফলে হু হু করে ভিন রাজ্যের পড়ুয়া এসে আসন দখল করছে যা হতে দেওয়া যায় না।"
শিক্ষকদের দাবি, ভিন রাজ্যের পড়ুয়ারা এসে প্রায়শই হিন্দিতে পড়ানোর দাবিও তোলেন। ’ সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ‘নীতি পুলিশি’র পিছনেও কয়েক জন ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়ার নাম জড়িয়েছে বলে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের একাংশের দাবি।
No comments:
Post a Comment