কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিয়াই হানা, তারপর কলকাতা পুলিস বনাম সিবিয়াই লড়াই এবং পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না। সিবিয়াই কে ব্যবহার করে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে গিয়ে হঠাৎ চাপে বিজেপি এবং সিবিয়াই।
মুকুল রায় সারদা কান্ডে মূল অভিযুক্ত। সিবিয়াই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু বিজেপিতে যোগদানের পর মুকুল ইস্যুতে সিবিয়াই চুপ, তদন্ত এগোয়নি। আসাম বিজেপির মূল নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামও সরাসরি জড়িত চিটফান্ড দুর্নীতিতে। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন তার সিবিয়াইকে লেখা চিঠিতে হিমন্ত বিশ্বেশর্মার নাম ও তাঁর নেওয়া টাকার পরিমান উল্লেখ করেছে। ২০১৪ সালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিয়াই। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সিবিয়াই জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেপ্তার করেনি হিমন্তকে।
সারদা কান্ডের তদন্ত নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই হঠাৎ চাপে বিজেপি। বিজেপি সিবিয়াইকে ভোটের আগে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগে সরব হয়েছে প্রায় সব বিরোধী দলই। সাথে সাথে মুকুল রায় ও হিমন্ত বিশ্বেশর্মার নামও সামনে চলে এসেছে। মুকুল ও হিমন্ত কাঁটায় বিদ্ধ বিজেপি। তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জোরালো হচ্ছে। ফলে বিজেপির সাথে সাথে চাপে সিবিয়াইও।
সারদা কেসে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে এভাবে বেকায়দায় পড়তে হবে বলে ভাবেনি বিজেপি, মত রাজনৈতিক মহলের।
No comments:
Post a Comment