আর কয়েক মাস পড়েই লোকসভা নির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। মনে করা হচ্ছে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের চাপে ফেলতে একাধিক সেলেব মুখকে দাঁড় করাতে পারে বিজেপি। তারই প্রাল্টা দিতে চলেছে এবার কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে রাজনীতিতে আসতে পারেন করিনা কাপুর। এমনটা দিল্লির রাজনীতিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
করিনাকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার দাবিতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস নেতা গুড্ডু চৌহান এবং আনিস খান দলের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁদের প্রস্তাব, করিনাকে ভোপাল থেকে দাঁড়ানোর সুযোগ দিক দল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, হঠাত করিনাকেই কেন চাইছেন তাঁরা?
Advertisement

কংগ্রেসের ওই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, করিনাকে নিয়ে একটা ক্রেজ রয়েছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। সিনেয় জগতের দৌলতে লক্ষাধিক ফলোয়ার্সও রয়েছে এই অভিনেত্রীর। আর সেটাই কাজে লাগাতে চাইছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পটৌডীর পুত্রবধূ করিনা। পটৌডীর জন্ম এই ভোপালেই। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন ভোপালের নবাব। তাই পটৌডী পরিবারের প্রতি ভোপালের মানুষের আলাদা শ্রদ্ধা রয়েছে। আনিস ও গুড্ডু তাই নিশ্চিত ভাবে মনে করেন, করিনা যদি ভোটে দাঁড়ান এই সব কারণগুলিই মিলিত ভাবে তাঁকে জেতাতে সাহায্য করবে।
এই বিষয়ে এই দুই নেতা আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের কাছেও এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে। কংগ্রেসের এহেন উত্তেজনাকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। ভোপালের বিজেপি সাংসদ অলোক সঞ্জর বলেন, “কংগ্রেসে কোনও নেতা নেই, তাই অভিনেতা দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে চাইছে।” তাঁর আরও কটাক্ষ, রাজ্যে কংগ্রেসের কী হাল! স্থানীয় কোনও নেতা না পেয়ে দলকে এ বার মুম্বই থেকে প্রার্থী আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পটৌডী পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। মনসুর আলি খান নিজেই ১৯৯১-এ এই ভোপাল থেকেই লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। কিন্তু বিজেপির সুশীলচন্দ্র বর্মার কাছে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ফের কয়েক বছর পর করিনা খান পটৌডীর কাছে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব কংগ্রেসের তরফে। তবে শেষ পর্যন্ত অভিনেত্রী ভোটে লড়বেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি তাঁর।
No comments:
Post a Comment