সামনের লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল হিসেবে যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে বর্ণনা করা হয়েছে, সেখানে বিজেপির শোচনীয় ফলের প্রভাব দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গেও। অনেকেই সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে গেছিলেন গত ২ বছরে। যেমন গিরীশ পার্কের বাসিন্দা ও একদা সিপিএম সমর্থক সুরজ সিং। উনি বাংলার চোখের উত্তর কলকাতা প্রতিনিধিকে বলেন, " যদিও আমি কলেজে এসএফআই করার সুবাদে সিপিএম সমর্থক ছিলাম, আমাদের এলাকায় সিপিএম কখনই খুব শক্তিশালী ছিল না। তাই বিজেপি আসার পর থেকে ওদিকেই ঝুঁকি। আমাদের এদিকে মুলত অবাঙালি মানুষ থাকে। তাই বিজেপিই আমাদের স্বাভাবিক পার্টি। তাই আমি বিজেপি করতে শুরু করি। এছাড়াও আমাদের বলা হয়েছিল যে আমরা যারা প্রথম দিকে যোগ দেব, আমাদের সকলকে মুদ্রা লোন দেওয়া হবে এবং সে লোন ফেরত দিতে হবে না। কেন্দ্রে যেহেতু বিজেপি, আমি বিশ্বাস করে নিই বিজেপি নেতাদের কথায়।" উনি লোন পেয়েছেন কিনা, এই প্রশ্নে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েই সুরজ বলেন যে ওপরের লোকেরাই সব খেয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি এক প্রাক্তন অভিনেতার কথা বলেন যাকে প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় দেখা যায়। বাংলা চোখের প্রতিনিধি যখন জিজ্ঞাসা করেন যে উনি কি জয় ব্যানারজির কথা বলছেন, সুরজ নিরুত্তর থাকেন। জানা যায়, সুরজ মুদ্রা লোন পায়নি। কিন্তু এই ভাবেই সুরজের মত প্রতারিত হাজার হাজার সরল ছেলে যারা একদিকে বামপন্থী, অন্যদিকে হিন্দুরাষ্ট্র ভাবধারায় বিশ্বাসী।

তাহলে বিজেপি ছাড়তে এত সময় নিলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুরজ বলেন যে ২০১৯এ কেন্দ্রে এসে গেলে আর রাজ্যে কিছু লোকসভা বিজেপি পেলে যদি কিছু জুটে যায়, সেই আশাতে ছিলাম। কিন্তু ৫ রাজ্যের ফল দেখে মনে হচ্ছে, এই রাজ্য তো দুরের কথা, আমাদের নিজেদের এলাকাতেই আমাদের অবস্থা খারাপ। এই সময়ে বিজেপির পার্টি-পলিটিক্সে না থাকা ভালো। কেন্দ্রে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল আর এখানে তৃণমূল, তার মধ্যে আমি বিজেপি করলে লাভ হবে না কোন। তাহলে তৃণমূলে যোগ দিলেন না কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন যে তার তৃণমূল ভালো লাগে না। এক সময় বাংলায় বিজেপি যুবনেতা রিতেশ তেওয়ারির অবাঙালি যুবদের কুখ্যাত "আজুবা" গ্যাং-এর অংশ ছিলেন সুরজ। তাতে বিশেষ কিছু পাওয়া যেত না। বাংলার চোখের প্রতিনিধির কাছে এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সুরজ বলেন, "যত টাকা দিয়ে রিতেশ তেওওারি নিজে উলঙ্গ হয়ে মণিপুরের মেয়েদের দিয়ে ম্যাসাজ করাত, তার থেকে কম টাকা আমি মাসে পেতাম"। রিতেশ তেওয়ারির ম্যাসাজ পার্লারে উলঙ্গ অবস্থায় নারীসঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি ভাইরাল হয়ে যায় কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে ও সংবাদ মাধ্যমে। সুরজ সিংএর সিপিএমে প্রত্যাবর্তন অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা বিজেপির কাছে কারণ রিতেশ তেওয়ারির "আজুবা" গ্যাং রিতেশের ওই নগ্ন ছবি বেরিয়ে পড়াতেই দুর্বল হয়ে যায়। গতকাল ৫ রাজ্যের ফল বেরোতে বাকিরাও সরে পড়ছেন। তার এক বড় উদাহরণ হল সুরজ সিং। একটা সময় নানা ফ্লেক্সে তার ছবি দেখা যেত বিজেপি নেতাদের সাথে।
কাল ৫ রাজ্যে বিজেপির বিপুল পরাজয়ের পর বাংলায় নতুন বিজেপি হওয়া ছেলেদের মধ্যে এই রকম সিপিএমে প্রত্যাবর্তনের খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের নানা অংশ থেকে। বিশেষভাবে গতকালকেই পুরুলিয়া, নদীয়া, কোচবিহার এবং দিনাজপুরে অনেকেই সিপিএমে ফিরে এসেছেন।

তাহলে বিজেপি ছাড়তে এত সময় নিলেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সুরজ বলেন যে ২০১৯এ কেন্দ্রে এসে গেলে আর রাজ্যে কিছু লোকসভা বিজেপি পেলে যদি কিছু জুটে যায়, সেই আশাতে ছিলাম। কিন্তু ৫ রাজ্যের ফল দেখে মনে হচ্ছে, এই রাজ্য তো দুরের কথা, আমাদের নিজেদের এলাকাতেই আমাদের অবস্থা খারাপ। এই সময়ে বিজেপির পার্টি-পলিটিক্সে না থাকা ভালো। কেন্দ্রে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল আর এখানে তৃণমূল, তার মধ্যে আমি বিজেপি করলে লাভ হবে না কোন। তাহলে তৃণমূলে যোগ দিলেন না কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন যে তার তৃণমূল ভালো লাগে না। এক সময় বাংলায় বিজেপি যুবনেতা রিতেশ তেওয়ারির অবাঙালি যুবদের কুখ্যাত "আজুবা" গ্যাং-এর অংশ ছিলেন সুরজ। তাতে বিশেষ কিছু পাওয়া যেত না। বাংলার চোখের প্রতিনিধির কাছে এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সুরজ বলেন, "যত টাকা দিয়ে রিতেশ তেওওারি নিজে উলঙ্গ হয়ে মণিপুরের মেয়েদের দিয়ে ম্যাসাজ করাত, তার থেকে কম টাকা আমি মাসে পেতাম"। রিতেশ তেওয়ারির ম্যাসাজ পার্লারে উলঙ্গ অবস্থায় নারীসঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি ভাইরাল হয়ে যায় কয়েক মাস আগে সামাজিক মাধ্যমে ও সংবাদ মাধ্যমে। সুরজ সিংএর সিপিএমে প্রত্যাবর্তন অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা বিজেপির কাছে কারণ রিতেশ তেওয়ারির "আজুবা" গ্যাং রিতেশের ওই নগ্ন ছবি বেরিয়ে পড়াতেই দুর্বল হয়ে যায়। গতকাল ৫ রাজ্যের ফল বেরোতে বাকিরাও সরে পড়ছেন। তার এক বড় উদাহরণ হল সুরজ সিং। একটা সময় নানা ফ্লেক্সে তার ছবি দেখা যেত বিজেপি নেতাদের সাথে।
কাল ৫ রাজ্যে বিজেপির বিপুল পরাজয়ের পর বাংলায় নতুন বিজেপি হওয়া ছেলেদের মধ্যে এই রকম সিপিএমে প্রত্যাবর্তনের খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের নানা অংশ থেকে। বিশেষভাবে গতকালকেই পুরুলিয়া, নদীয়া, কোচবিহার এবং দিনাজপুরে অনেকেই সিপিএমে ফিরে এসেছেন।
No comments:
Post a Comment