বিধানসভায় বিজেপি ও গোর্খা বাদ দিয়ে বাকি সব দলের বিধায়কদের সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্যের পরিবর্তিত নাম হিসেবে 'বাংলা'তে সীলমোহর পড়লেও কেন অহেতুক বিলম্ব করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার- ইতিমধ্যেই সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ,"অন্যান্য রাজ্যের একাধিক জায়গার নাম একের পর এক পাল্টে গেলেও বাংলা নামের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করতেই বিলম্ব করছে।"এত দীর্ঘসূত্রিতার পর এখন শোনা যাচ্ছে কেন্দ্র নাকি এই নাম পরিবর্তনে সম্মত নয়, কারণ বাংলাদেশের সাথে নামের সাদৃশ্য। অথচ ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তান এই দুই স্বাধীন রাষ্ট্রে একই নামে দুটি রাজ্য রয়েছে যার নাম পাঞ্জাব। প্রসঙ্গত গত এক বছরে ২৫টি শহরের নাম বদল করেছে বিজেপি সরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন," আমরা কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা হতে দেব না,কিছু ধান্দাবাজ লোক এই নাম পরিবর্তন করতে চাইছেন।"বাংলার নাগরিক সমাজের বড় অংশের বক্তব্য আপামর বাঙালি প্রতিদিনের কথোপকথনে অসংখ্য বার নিজের রাজ্য বোঝাতে 'বাংলা' কথাটির ব্যবহার করেন। তাছাড়া বাংলার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা নামে সীলমোহর দিয়েছেন। 'ধান্দাবাজ' বলে দিলীপবাবু কি এই বাংলার মানুষকেই প্রকারান্তরে অপমান করলেন না ? প্রশ্ন নাগরিক সমাজের। দিলীপবাবু আরো বলেন,"বাংলা মানে তো বাংলাদেশ। রবি ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত লিখেছেন 'আমার সোনার বাংলা'। এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের কোন সম্পর্ক নেই।"তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রবীন্দ্রনাথ যখন লিখেছিলেন, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ তিনি কি বাংলাদেশের কথা লিখেছিলেন নাকি পশ্চিমবঙ্গের? ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটা শুনে কি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের গায়ে কাঁটা দেয় না? জীবনানন্দই বা কোন বাংলার মুখ দেখেছিলেন ? তিনি কোন বাংলায় আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন ? নজরুল কি শুধু বাংলাদেশের কবি? মাস্টারদা কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছিলেন ?
বাঙালির স্মরণে-মননে-চেতনায় রয়েছে বাংলা। আবহমান কাল ধরে নিজের এই মাটিকে বাংলা বলেই চিনে এসেছে বাঙালি। তাছাড়া এটা সাংবিধানিক ও ঐতিহাসিক সত্য যে, বাংলা রাজ্য বাংলা ভাষার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা হলে তা কখনোই অযৌক্তিক হবে না। বরং তা হবে বাঙালির আবেগের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। তাই বিজেপির এই বাংলায় নামের বিরোধিতা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ,"অন্যান্য রাজ্যের একাধিক জায়গার নাম একের পর এক পাল্টে গেলেও বাংলা নামের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করতেই বিলম্ব করছে।"এত দীর্ঘসূত্রিতার পর এখন শোনা যাচ্ছে কেন্দ্র নাকি এই নাম পরিবর্তনে সম্মত নয়, কারণ বাংলাদেশের সাথে নামের সাদৃশ্য। অথচ ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তান এই দুই স্বাধীন রাষ্ট্রে একই নামে দুটি রাজ্য রয়েছে যার নাম পাঞ্জাব। প্রসঙ্গত গত এক বছরে ২৫টি শহরের নাম বদল করেছে বিজেপি সরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন," আমরা কিছুতেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা হতে দেব না,কিছু ধান্দাবাজ লোক এই নাম পরিবর্তন করতে চাইছেন।"বাংলার নাগরিক সমাজের বড় অংশের বক্তব্য আপামর বাঙালি প্রতিদিনের কথোপকথনে অসংখ্য বার নিজের রাজ্য বোঝাতে 'বাংলা' কথাটির ব্যবহার করেন। তাছাড়া বাংলার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা নামে সীলমোহর দিয়েছেন। 'ধান্দাবাজ' বলে দিলীপবাবু কি এই বাংলার মানুষকেই প্রকারান্তরে অপমান করলেন না ? প্রশ্ন নাগরিক সমাজের। দিলীপবাবু আরো বলেন,"বাংলা মানে তো বাংলাদেশ। রবি ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত লিখেছেন 'আমার সোনার বাংলা'। এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের কোন সম্পর্ক নেই।"তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রবীন্দ্রনাথ যখন লিখেছিলেন, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ তিনি কি বাংলাদেশের কথা লিখেছিলেন নাকি পশ্চিমবঙ্গের? ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটা শুনে কি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের গায়ে কাঁটা দেয় না? জীবনানন্দই বা কোন বাংলার মুখ দেখেছিলেন ? তিনি কোন বাংলায় আবার ফিরে আসতে চেয়েছেন ? নজরুল কি শুধু বাংলাদেশের কবি? মাস্টারদা কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছিলেন ?
বাঙালির স্মরণে-মননে-চেতনায় রয়েছে বাংলা। আবহমান কাল ধরে নিজের এই মাটিকে বাংলা বলেই চিনে এসেছে বাঙালি। তাছাড়া এটা সাংবিধানিক ও ঐতিহাসিক সত্য যে, বাংলা রাজ্য বাংলা ভাষার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা হলে তা কখনোই অযৌক্তিক হবে না। বরং তা হবে বাঙালির আবেগের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। তাই বিজেপির এই বাংলায় নামের বিরোধিতা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বাঙালি।
No comments:
Post a Comment